পঞ্চম দিনে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম
মেট্রোরেল চলাচলের পঞ্চম দিনে আজ সোমবার যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম। যাত্রীরা এসেই টিকিট কাটতে পারছেন। আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে এ চিত্র দেখা যায়।
আজ সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত আগারগাঁও স্টেশনে দেখা যায়, টিকিট বিক্রির তিনটি মেশিনের কোনোটি কখনো ফাঁকা, কখনো দু-একজন লাইনে। একটি কাউন্টারের সামনে সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ জনকে টিকিটের জন্য লাইনে থাকতে দেখা যায়।
আগারগাঁও স্টেশন থেকে টিকিট কাটার পর জাহিদ হাসান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘টিকিট কাটতে সব মিলিয়ে তিন থেকে চার মিনিট সময় লেগেছে। লাইন ছিল না। এসেই তাড়াতাড়ি কেটে ফেলেছি।’
টিকিট বিক্রি মেশিনে সাহায্যকারী রোভার স্কাউট সদস্য শিহাবুর রহমান বলেন, আজ সকালে কোনো ধরনের অসুবিধা ছাড়াই মেট্রোরেল চলাচল করছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম।
অন্যান্য দিনের মতো আজও অনেকেই মেট্রোরেলে প্রথমবার ওঠার জন্য এসেছেন। তেমনি রাজধানীর একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাউফিক ই চৌধুরী। তাঁরা তিন ভাইবোন এসেছে মায়ের সঙ্গে। তাউফিক ই চৌধুরী বলে, ‘এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। এটা অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশে এমন মেট্রোরেল হবে, সেটা আগে ভাবতে পারিনি।’
গত বুধবার মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকে জনসাধারণের জন্য সীমিতভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। বৈদ্যুতিক লাইনে ফানুস আটকে থাকায় গতকাল রোববার মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আগামী ২৬ মার্চ থেকে উত্তরা-আগারগাঁও পথে পুরোদমে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। উত্তরা-আগারগাঁও পথের জন্য ৬ কোচবিশিষ্ট ১০টি ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।