তালা নেই, পুলিশ নেই, তবু কেউ আসে না বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে
মূল ফটকে তালা নেই। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিও নেই। তবে এরপরও নেতা–কর্মীদের কেউ আসেন না। তাই নিরাপত্তারক্ষীদের ফটকও খুলতে হয় না।
১৯ দিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের চিত্র এটি।
গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে নিয়মিত আসতেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। তবে এরপর থেকে তিনি আসছেন না।
নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মতো গুলশান কার্যালয়ে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নেই। এরপরও বিএনপির নেতা–কর্মীরা আসছেন না বলে জানালেন কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা।
বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় এ বি এম আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনি কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন গুলশান কার্যালয়ে গেলে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না? গুলশান কার্যালয় কেন, নেতা–কর্মীরা তো এখন ঘরেও থাকতে পারেন না। সব জায়গায় সরকার নজরদারি করছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব বলেন, ‘আমি তো রাজনীতি করি না। রাজনৈতিক নেতা–কর্মীরা কেন কার্যালয়ে আসেন না, এটা আমি কীভাবে বলব?’
আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলশান কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়ের আশপাশে গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক সদস্য বসে আছেন। অবশ্য আগে থেকেই কার্যালয়ের আশপাশে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন থাকেন।
গুলশান কার্যালয়ের মূল ফটকের ভেতরের অংশে দুজন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁদের একজন মো. আলিম। কার্যালয়ে নেতা–কর্মীদের কেউ আছে কি না, এমন প্রশ্নে আলিম প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে কার্যালয়ে কেউ আসেননি।
বিএনপির নেতা–কর্মীরা গুলশান কার্যালয়ে না এলেও তিন–চারজন কার্যালয়ের ভেতর ২৪ ঘণ্টা থাকেন। তাঁরা গুলশান কার্যালয়ের কর্মচারী। তাঁদের একজন মোহাম্মদ এজাজ। ২০০৮ সাল থেকে এ কার্যালয়ে কাজ করছেন তিনি।
মোহাম্মদ এজাজ প্রথম আলোকে বলেন, এখন কেউ আসছেন না।
গুলশান কার্যালয়ের মূল ফটকের পাশেই ১১ বছর ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা মো. তাবারক। তিনিও অভিন্ন কথা বলেন। তাবারক বলেন, কার্যালয়ে কেউ আসেন না।