বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিক ব্যক্তিগত কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বার্তাকক্ষের কার্যক্রমে এআইয়ের ব্যবহার এখনো খুব কম। কিন্তু বার্তাকক্ষের উন্নয়নে এআই বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (এমআরডিআই) উদ্যোগে এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ডিজিটালি রাইটের সহযোগিতা ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের মধ্যে এআই ব্যবহারের ধরন, নৈতিক চিন্তাভাবনা এবং সংবাদমাধ্যমগুলোতে আরও বেশি এআই ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় করণীয় ও ঘাটতির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
শনিবার রাজধানী ঢাকার দ্য ডেইলি স্টার অফিসে এমআরডিআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটির ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে সংবাদমাধ্যম সম্পাদক, সংবাদমাধ্যম সিদ্ধান্তগ্রহীতা, সংবাদমাধ্যমের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রধান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ‘মিডিয়া মেটামরফোসিস: এআই এবং বাংলাদেশি নিউজরুম ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের ২৫টি সংবাদমাধ্যমের ৫৩ জন সাংবাদিকের ওপর জরিপ চালানো হয়। তা ছাড়া ১৩ জন সম্পাদক ও সংবাদমাধ্যম সিদ্ধান্তগ্রহীতার সঙ্গেও কথা বলা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের।
ডিজিটালি রাইটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মালিহা তাবাসসুম যৌথভাবে এ মূল্যায়ন ফলাফল উপস্থাপন করেন।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের অর্ধেকের বেশি (৫১%) তাঁদের কাজের জন্য এআই ব্যবহার করেছেন। তবে বার্তাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এআই ব্যবহারের হার বেশ কম (২০%)। এআই ব্যবহারকারী সাংবাদিকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল চ্যাটজিপিটি, যার ব্যবহার হার ৭৮%।