বিটিআই জালিয়াতি: সেই মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে কালো তালিকাভুক্ত করল ডিএনসিসি
মশার লার্ভা নিধনের ব্যাকটেরিয়া বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমদানিতে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ শনিবার করপোরেশনের এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটির আমদানি করা বিটিআই নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দাবি করে, তাদের সরবরাহ করা পাঁচ হাজার কেজি বিটিআই সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদিত। তবে সেটা সত্য নয় বলে জানায় বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেড। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরের ওই কোম্পানি নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি সতর্কবার্তাও দিয়েছে। এই জালিয়াতি নিয়ে ১৭ আগস্ট প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আজ ডিএনসিসির অফিস আদেশে বলা হয়, সরবরাহকৃত বিটিআই বেস্ট কেমিক্যালের উৎপাদিত এবং সরবরাহকৃত কি না, এ–সংক্রান্ত সব প্রমাণ দাখিল ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজকে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির বিষয়ে মশকনিধন কীটনাশক ও যন্ত্রপাতি কারিগরি ও যাচাই কমিটির ১৭ আগস্টের সভায় পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, সরবরাহ করা বিটিআই সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজে উৎপাদিত বলে কোনো প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি মার্শাল অ্যাগ্রোভেট।
ডিএনসিসির অফিস আদেশে আরও বলা হয়, ভান্ডার ও ক্রয় বিভাগের দাপ্তরিক ই-মেইল থেকে সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা জানায়, বেস্ট কেমিক্যাল থেকে এসব মাল মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে সরবরাহ করা হয়নি। মার্শাল অ্যাগ্রোভেট তাদের নিযুক্ত পরিবেশক নয়। এ ছাড়া লি কিয়াং নামের এক ব্যক্তিকে বেস্ট কেমিক্যালের রপ্তানি ব্যবস্থাপক বলে দাবি করা হয়েছিল। তিনি বেস্ট কেমিক্যালের কর্মচারী নন।
এ জালিয়াতির অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে বলে ডিএনসিসির অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ কমিটির আহ্বায়ক ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।