রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বিষক্রিয়ায় স্কুলপড়ুয়া দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার টিটু মোল্লাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক রনপ কুমার।
এর আগে ভাটারা থানা-পুলিশ টিটু মোল্লাকে আদালতে হাজির করে তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টিটু মোল্লা ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামের একটি বালাইনাশক (পেস্ট কন্ট্রোল) প্রতিষ্ঠানের কর্মী। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার পোকামাকড় নিধনে একটি পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাসায় ডেকে আনেন মোবারক হোসেন ও শারমিন জাহান দম্পতি। কীটনাশক স্প্রে করার পর কর্মীরা বলে যান, ছয় ঘণ্টা যেন কেউ বাসায় না ঢোকেন। এরপর পুরো বাসা পরিষ্কার করে বসবাস করতে হবে। পরিবারটি বাইরে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছোট ছেলে শাহির। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে তার বড় ভাই শায়ান। গত রোববার ভোরে দুই ভাইকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শাহিরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শায়ানও মারা যায়। তবে এই দম্পতির অপর সন্তান (মেয়ে) সুস্থ আছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম আসাদুজ্জামান আজ প্রথম আলোকে বলেন, বাসায় তেলাপোকাসহ পোকামাকড় নিধনে কীটনাশক প্রয়োগ করেছিলেন টিটু।
চিকিৎসকের বরাতে পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র বলছে, এই কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় শাহির মোবারত জায়ান (৯) ও শায়ান মোবারত জাহিন (১৫) নামের দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
দুই সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় মোবারক হোসেন গতকাল তিনজনকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন।