ইউল্যাবের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য ইমরান রহমানের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা দাবি আদায়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বছিলা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
ইউল্যাব প্রাঙ্গণে গ্রাফিতি আঁকায় গত মাসে তাদের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সারা দেশেই শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা শুরু করেন। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আজ বুধবার দুপুরে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা তিনটার দিকে উপাচার্যের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। তবে প্রতিনিধিদলটি উপাচার্য ইমরান রহমানের পদত্যাগ এবং ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট অস্বীকৃতি জানায়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি সংস্কার কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোগত সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করার পাশাপাশি পরবর্তী উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবে।
রাজিন সালেহি নামের এক শিক্ষার্থী রাত ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিল, তারা এখনো ক্যাম্পাসেই রয়েছে। উপাচার্যের পদত্যাগসহ দাবি না মানা হলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এ বিষয় জানতে উপাচার্যকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে অসম্মান ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির দায় নিয়ে অনতিবিলম্বে ভিসির পদত্যাগ; ট্রাস্টি বোর্ডের অপসারণ; ডিসিপ্লিনারি কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির সবাইকে ছাত্রবিরোধী সিদ্ধান্তের দায় নিয়ে পদত্যাগ; শিক্ষার্থীসহ সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ইউল্যাবের কোড অব কনডাক্টের যৌক্তিক সংস্কার এবং মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশ ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা।