গাবতলী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে, তবে যাত্রী কম
এক-দুজন করে যাত্রী টার্মিনালে আসছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা রিকশা থেকে টার্মিনালের সামনে পৌঁছালেই তাঁদের বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির প্রতিনিধিরা ডাকাডাকি করছেন। জানাচ্ছেন, তাঁদের বাস কোন কোন গন্তব্যে যাবে। কেউ কেউ আবার কখন বাস ছাড়া হবে, সে সময়ও বলে দিচ্ছেন।
বিএনপির ডাকা অষ্টম দফার অবরোধের দিন আজ বুধবার রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকেই দূরপাল্লার বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে বাস ছাড়া হচ্ছে বলে জানান বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তবে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তাঁরা।
বেলা ১১টার দিকে গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির কাউন্টারগুলো খোলা। কাউন্টারের ভেতরে ও সামনে বাস কোম্পানির প্রতিনিধিরাও দায়িত্ব পালন করছেন। টার্মিনালে ব্যাগপত্র নিয়ে কেউ গেলেই কোথায় যাবেন, তা জানতে চাচ্ছিলেন। যাত্রীরাও যে গন্তব্যে যাবেন, সেখানে চলাচল করা বাস কাউন্টারে টিকিটের খোঁজ করছিলেন।
দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী টার্মিনালে অর্ধশতাধিক যাত্রীকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তাঁরা টিকিট কেটে বাস ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন বলে জানান।
রংপুরে যেতে বাসের অপেক্ষা করছিলেন সারাফত আলী। তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১১টার দিকে টার্মিনালে এসেছি। বাস একটায় ছাড়বে বলে জানিয়েছে। তাই অপেক্ষা করছি।’ তিনি শ্যামলী পরিবহনের টিকিট কেটেছেন বলে জানান।
গাবতলীতে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. শাহরিয়ার প্রথম আলোকে জানান, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের দুটি গাড়ি ছেড়েছে। এর একটি বরিশাল, অন্যটি খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। তবে যাত্রী কিছুটা কম ছিল বলে জানান তিনি।
গাবতলী বাস টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটির প্রতিনিধিরা জানান, সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে মোট ২৮টি বাস ছেড়ে গেছে। যাত্রী বেশি না থাকায় নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে রাজধানীতে সিটি বাসগুলোর চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। অন্যান্য অবরোধের তুলনায় সড়কে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের উপস্থিতিও বেশি রয়েছে। শ্যামলী, টেকনিক্যাল মোড় ও গাবতলী এলাকায় হালকা যানজটও দেখা গেছে।