আনোয়ারা উদ্যান রক্ষার দাবিতে কর্মসূচি, মেয়র আতিকের সংহতি
রাজধানীর ফার্মগেটের শহীদ আনোয়ারা উদ্যান রক্ষার দাবিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছেন উদ্যান রক্ষায় আন্দোলনকারীরা। ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে আনোয়ারা উদ্যান রক্ষার দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে গুলশান-২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে মেয়র আতিকুল ইসলামের হাতে উদ্যানটি রক্ষায় একটি প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীরা।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) সভাপতি আকতার মাহমুদ বলেন, সার্বিকভাবে রাজধানী ঢাকায় পার্ক, উদ্যান ও জলাভূমির যে স্বল্পতা, এমন অবস্থায় আনোয়ারা উদ্যানের জায়গা অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। উদ্যানের ওই জায়গাটি উদ্যান হিসেবেই জনগণের জন্য ফিরিয়ে দিতে হবে। তাই তাঁরা চান, ওই জায়গাটি দ্রুতই পার্কের চরিত্র ধারণ করুক। সিটি করপোরেশন নকশা অনুযায়ী সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য পার্ক নির্মাণ করে দিক।
আনোয়ারা উদ্যান রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব বলেন, গত ১৮ মে আনোয়ারা উদ্যানের সামনে করা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তাঁরা ৩০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। এ মাসের ১৮ তারিখ এই সময় শেষ হবে। তবে এ সময় দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এরই মধ্যে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলছে যে তারা স্টেশন প্লাজার নকশা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সে কারণে আজকের কর্মসূচি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মেয়রের মাধ্যমে জানতে চাই ,মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কবে আনোয়ারা উদ্যান থেকে তাদের যাবতীয় অস্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নেবে? কবে আমরা ওই উদ্যান আবার উদ্যানের মতো করে ফিরে পাব?
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে শতভাগ একমত। প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন আনোয়ারা উদ্যানের জায়গায় কোনো ধরনের মার্কেট নির্মাণ করা যাবে না। তাই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে বলছি, দ্রুত উদ্যানের জায়গা ছেড়ে দিতে। এখন কবে ছাড়বেন, কীভাবে ছাড়বেন সেটা আমাদের জানিয়ে দিন।’
আনোয়ারা উদ্যানের সামনেই আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ঈদের পরে সবাইকে নিয়ে আনোয়ারা উদ্যানের সামনেই আন্দোলন করতে চান। কারণ যেখানকার সমস্যা সেখানেই আন্দোলন করতে হবে। মেট্রোরেলের যে চিন্তাভাবনা করেছে, তা অন্যায়ভাবে উদ্যানকে গলা টিপে মেরে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা; কিন্তু গলা টিপে কেউ পার্ক নিতে পারবে না।
শেষে আনোয়ারা উদ্যানের জন্য ১৩টি দাবি সংবলিত একটি প্রস্তাব মেয়রের হাতে তুলে দেন আন্দোলনকারীরা।