মিরপুরে সড়কে পুলিশ ও যুবলীগের অবস্থান

রাজধানীর মিরপুরে আজ শুক্রবার সকাল থেকে যান চলাচল অনেক কম। দোকানপাট খুব একটা খোলেনি। তবে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের কাছে পুলিশ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে অবস্থান নিয়ে আছেন। বেলা একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মিরপুরে আন্দোলনকারীদের দেখা যায়নি।

আজ বেলা ১১টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের পশ্চিম পাশে শাহ আলী প্লাজার ফুটপাতে বেশ কিছুসংখ্যক পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

বেলা সাড়ে ১১টার পর মিরপুর ১৪ নম্বরের দিক থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুটি মিছিল মিরপুর ১০ নম্বরের দিকে আসে। ছাত্রলীগের মিছিলটি ১০ নম্বর গোল চত্বর হয়ে কাজীপাড়ার দিকে চলে যায়। আর যুবলীগের মিছিলটি ১০ নম্বর গোল চত্বর প্রদক্ষিণ করে সড়কের পাশে অবস্থান নেয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ আলামিন প্রথম আলোকে বলেন, মিছিল করে এসে তাঁরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। জুমার নামাজের পর অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও এখানে যোগ দেবেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। গতকাল মিরপুর-১০ নম্বরের একটি পুলিশ বক্সে আগুনও দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল ঢাকাসহ সারা দেশ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। রাজধানী ছাড়াও দেশের ৪৭টি জেলায় গতকাল দিনভর বিক্ষোভ, অবরোধ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের হামলা-গুলি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার। আজ শুক্রবারও সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। এদিকে রাজধানীতে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।