সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে ডিএনসিসি

সাদিক অ্যাগ্রোর খামারছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ছাগল–কাণ্ডের জন্য আলোচিত মোহাম্মদপুর এলাকার ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’–এ উচ্ছেদ অভিযান চালাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি বলছে, সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে।

অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। আজ বুধবার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।

ডিএমপিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫–এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা (সাদিক অ্যাগ্রো) রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে। রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে গরুর অবৈধ হাট বসিয়েছিল। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি।’

সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন (নীল শার্ট গায়ে)
ছবি: সংগৃহীত

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনিচ্ছুক ঢাকা উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, খালের ওই অংশে অবৈধ দখলদার সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়টি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরানের সখ্য রয়েছে। ঈদুল আজহার আগে ১২ জুন ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনে অনুষ্ঠিত কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ছবিতে মেয়র আতিকুল ইসলামের পাশে তাঁকে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

সাদিক অ্যাগ্রো কী পরিমাণ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে—জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আগের একটা পরিমাপ রয়েছে। তবে আবার নতুন করে অবৈধ দখলের পরিমাণ মেপেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ওই খামার নিয়ে যেসব আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, এর সঙ্গে এ অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই।