শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে গেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকেছবি: সাজিদ হোসেন

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে গেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করার পর বিকেলে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে যায়।

তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাফায়েত শফিক প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নামও জানিয়েছেন তিনি। তাঁরা হলেন মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আবদুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, তোয়াহা ও কাউসার।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ‘কলেজ ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নেন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে ক্যাম্পাসের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে বেলা তিনটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে যায়।

একই দাবিতে গতকাল সোমবার সাড়ে চার ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর আড়াই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সন্ধ্যায় আবার সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে নয়টার দিকে অবরোধ শেষ করে তাঁরা ঘোষণা দেন, আজ আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আজ সকাল থেকে ‘কলেজ ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

আরও পড়ুন

গতকাল শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে প্রায় সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মহাখালী উড়ালসড়ক ও এর নিচের বিমানবন্দর সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হওয়া সাধারণ যাত্রীরা।

অবরোধের শুরুতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কমলাপুরগামী একটি ট্রেন দ্রুতগতিতে মহাখালী রেলক্রসিং অতিক্রম করে। রেলপথ অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেনে পাথর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনে থাকা কয়েকজন যাত্রী আহত হন এবং ট্রেনের কিছু জানালার কাচ ভেঙে যায়।