নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে একজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বাসায় লিকেজ থেকে জমা হওয়া গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম রহিমা বেগম (৩৫)। আজ সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, রহিমার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগি গ্রামে। তাঁর স্বামীর নাম মো. জাহাঙ্গীর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বাগপাড়া এলাকায় একটি টিনশেডের বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের এক শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন বাঘপাড়া এলাকার নূর মোহাম্মদের স্ত্রী সুখী আক্তার (৩৩), তাঁর মেয়ে সাদিয়া (১০), বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুপাতো বোন রহিমা আক্তার (৩২) ও রহিমার মেয়ে ঋতু আক্তার (১৩)।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল সেদিন জানিয়েছিলেন, দগ্ধদের মধ্যে রহিমাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া সুখী আক্তারের ১৭ শতাংশ, জান্নাতি আক্তারের ১৫ শতাংশ ও ঋতু আক্তারের ১০ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। তাঁদের ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।