সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন একপক্ষীয় তামাশার হয়েছে

সাংবাদিক ও নীল দলের আইনজীবীদের লাঠিপেটা করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয় পুলিশ
ছবি: প্রথম আলো

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভিন্নমতের ‘আইনজীবী ভোটারদের’ তাড়িয়ে দিয়ে একপক্ষীয় তামাশার নির্বাচন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী।  

এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে নতুন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন এই দুই নেতা। এ বিষয়ে পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সবাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। বিচারালয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ন্যক্কারজনক হামলা সভ্যসমাজে কল্পনাও করা যায় না। এ ধরনের ঘটনা নাগরিকদের অসহায় করে তোলে।

পেশাজীবী পরিষদের দুই নেতা আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষের শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে আদালত। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সবাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। বিচারালয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ন্যক্কারজনক হামলা সভ্যসমাজে কল্পনাও করা যায় না। এ ধরনের ঘটনা নাগরিকদের অসহায় করে তোলে।

পেশাজীবী পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা আরও বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভিন্নমতের আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভোট প্রদানে বাধাদান রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে তাঁরা মনে করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় এখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হলো না। ফলে ‘ভোটাধিকারহীন’ এক ‘আজব গণতন্ত্র’ এ দেশের মানুষ উপভোগ করছে।

আরও পড়ুন

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচার করার দাবি জানান পেশাজীবী পরিষদের নেতারা।

আরও পড়ুন