গুলশানে ভবনে আগুন: দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা

আগুন নেভাতে চেষ্টার কমতি রাখেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
ছবি: সাজিদ হোসেন

রাজধানীর গুলশানের বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এক্‌মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ঢাকার এরিয়া ম্যানেজার রাকিব হাসান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি করেন।

বিষয়টি প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজ। তিনি বলেন, আগুনের ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আগুন লাগা ভবনটির ফ্ল্যাট নং এ-১২ ও এ-১৩–এর মালিক এক্‌মি গ্রুপের ডিরেক্টর ফাহিম সিনহা। ভবনের ৫ম তলায় ইলেকট্রিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান দ্রুত ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই ফ্ল্যাটের দুজন সুইমিংপুলে পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।

গুলশান ২ নম্বর এলাকার ১০৪ নম্বর সড়কের ১৪তলা ওই ভবনে গত রোববার রাতের অগ্নিকাণ্ডে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। আর যে দুজন মারা গেছেন, তাঁদের কেউই অগ্নিদগ্ধ হননি। দুজনই ভবনের ১২ তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে মারা গেছেন।

মারা যাওয়া দুজন হলেন আনোয়ার হোসেন (৩০) ও মো. রাজু (৩৫)। এর মধ্যে আনোয়ারকে রোববার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রাজু রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁরা দুজনই ভবনের ১২ তলার একটি ফ্ল্যাটে কাজ করতেন। রাজু ছিলেন বাবুর্চি, আনোয়ার গৃহকর্মী ছিলেন।

ওই ফ্ল্যাটের মালিক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফাহিম সিনহা। তাঁর স্ত্রী সামা রহমান সিনহা আগুন লাগার সময় লিফটে আটকা পড়েছিলেন। পরে সপ্তম তলায় লিফট থেকে কোনো রকমে বের হয়ে বারান্দা দিয়ে লাফিয়ে নিচের সুইমিংপুলে পড়ার চেষ্টা করেন তিনি। এতে মাথা, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আগুনে দগ্ধ হন। তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন