ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরের প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’। ঢাকা, ৪ নভেম্বর ২০২৪ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের; বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’।

আজ সোমবার বিকেলে টিএসসির সামনে বাঁশ ও কাপড় দিয়ে প্রতীকী মঞ্চ তৈরি করে ‘ছাত্র-জনতার আদালতে ফ্যাসিবাদের প্রতীকী ফাঁসি’ শিরোনামের এ কর্মসূচি পালন করা হয়। জাতীয় পার্টির সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি আলোচনায় আসা ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’র ব্যানারে শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়। এ সময় প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চের পাশে ঝোলানো ছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ শিশু-কিশোরদের তালিকা।

‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’র নেতৃত্বে আছেন নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পাঁচজনের প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছেন। এ কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীসহ হত্যা-লুটপাটে জড়িত ব৵ক্তিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি, গ্রেপ্তার ও এসব আসামিকে কারাগারে ডিভিশন না দেওয়া এবং সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়কে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহার করার দাবি জানানো হয়েছে।

এর আগে বিকেলে প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচিতে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর আমাদের কাজ শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগের দোসররা কি চুপ করে বসে আছে? তারা যেকোনো প্রক্রিয়ায় ফেরার চেষ্টা করছে। তাই আমাদের রাজপথে সজাগ থাকতে হবে, যাতে তারা আর কোনোভাবে ফিরে আসতে না পারে।’

রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা গেড়ে আছে বলে অভিযোগ করেন বিন ইয়ামিন। তিনি বলেন, তাদের উৎখাত করতে না পারলে তারা যেমন অন্তর্বর্তী সরকারকে কাজ করতে দেবে না। রাজনীতিবিদদেরও শান্তিতে থাকতে দেবে না। তাই সব অঙ্গন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের সমূল উৎপাটন করার আগপর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার কার্যক্রম চলছে এবং চলবে। যারা শত শত শিশুকে খুন করতে পারে, যারা এর মাস্টারমাইন্ড, তাদের শাস্তি ফাঁসি ছাড়া আর ভিন্ন কিছু বাংলাদেশে নেই।