নির্ধারিত সময়ের ৫-১০ মিনিটের মধ্যে ছাড়ছে ট্রেন, স্বস্তিতে যাত্রীরা
নির্ধারিত সময়ের ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। স্টেশন ও প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম। বেশির ভাগ ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় নেই। নেই গত কয়েক দিনের মতো ভ্যাপসা গরমের কষ্ট। সব মিলিয়ে স্বস্তিতে ঈদে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করছেন সাধারণ মানুষ। ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
রেলওয়ে সূত্রের তথ্যমতে, আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কমলাপুর স্টেশন থেকে ১৪টি আন্তনগর ও লোকাল ট্রেন ছেড়ে গেছে। এ ট্রেনগুলোর কোনোটির ছাড়তে গত দুই দিনের মতো দেরি হয়নি।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী হারুন-উর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটায় স্টেশনে আসি। এসেই দেখি, ট্রেন ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো। দেরি না করে ট্রেনে উঠে যাই।’
রংপুর এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল ৯টা ১০ মিনিটে। ছাড়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে।নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিটের মাথায় দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায় তার এক ঘণ্টা আগেই।
সকাল ৯টার দিকে ট্রেনটির খ বগিতে বসে ছিলেন যাত্রী মাসুম হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভেতরে দাঁড়ানো যাত্রী আছে। তবে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় কষ্ট হচ্ছে না। আশা করছি, স্বস্তিতেই যেতে পারব।’
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। দরজা দিয়ে ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের বেগ পেতে হচ্ছিল। তাই অনেকে জানাল দিয়ে ট্রেনে ওঠেন। ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটির ভেতরে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
এই ট্রেনে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে তুলে দিতে স্টেশনে আসেন মমিনুল ইসলাম। তিনি একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীতে কর্মরত। এই ঈদে তিনি ছুটি পাননি। তাই বাড়ি যেতে পারছেন না। ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে তাঁকে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারকে ট্রেনে তুলে দিতে কিছুটা কষ্ট হয়েছে। তবে নির্ধারিত আসনে তারা বসতে পেরেছে। ঈদে পরিবার থেকে দূরে থাকবেন, তাই তাঁর কিছুটা খারাপ লাগছে।
আজ সকালের দিকে কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। শুধু ট্রেন ছাড়ার আগমুহূর্তে কিছুটা ভিড় দেখা যায়। ট্রেন ছাড়ামাত্রই আবার স্টেশন ফাঁকা দেখা যায়।
কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে যে ট্রেনগুলো ছেড়ে গেছে, সব কটিই যথাসময়ে গেছে। ফলে আজ যাত্রীরা স্বস্তি নিয়ে বাড়ি যেতে পারছেন। আমরা আশা করছি, আজকের বাকি ট্রেনগুলোও যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারবে।’