রাজধানীতে তীব্র যানজট, দুর্ভোগে নগরবাসী
ইলিয়াস হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। অফিস ছুটির পর মতিঝিল থেকে বাসে করে মিরপুর ১২ নম্বরের বাসায় যান প্রতিদিন। বাসায় পৌঁছাতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। কিন্তু আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে মতিঝিল থেকে কাকরাইলে পৌঁছাতেই তাঁর দেড় ঘণ্টা লেগেছে। কখন বাসায় পৌঁছাবেন তা-ও জানা নেই।
শুধু ইলিয়াস হোসেনই নন, তাঁর মতো অনেকেরই বিকেলে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরতে বা কাজে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। রাস্তায় বেরিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে নাভিশ্বাস ওঠে তাঁদের। বাধ্য হয়ে অনেকেই এ সময় হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কারওয়ান বাজার থেকে যত দূর চোখ যায়, সড়কের দুই দিকে শুধু গাড়ি আর গাড়ির সারি। গাড়ি যেন নড়ছেই না।
কারওয়ান বাজারের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. মোস্তফা জানালেন, বিকেলে শাহবাগের সামনের রাস্তা বন্ধ ছিল। কোনো যানবাহন না পেয়ে অনেকেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন। তিনিও হেঁটে কারওয়ান বাজারে আসেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, বুধবার বিকেলে রাজধানীতে দুটি অনুষ্ঠান ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাগম হয়। অপর দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে যান। এর ফলে ওই সব সড়কে যান চলাচল সীমিত করা হয়। এতে এসব এলাকায় যানজট দেখা দেয়। পরে তা রাজধানীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
জনসভা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ভিভিআইপি গমনাগমন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাঁটাবন ক্রসিং, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ক্রসিং, মৎস্য ভবন ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং ও ভিসির বাংলো ক্রসিং এলাকায় রাস্তা বন্ধ বা রোড ডাইভারশন দেওয়া হয়। ফলে মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান, বিজয়নগরসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীতে দুই ধরনের অনুষ্ঠানের কারণে মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে নগরীতে যানজট দেখা দেয়।