নগরে হলো নবান্ন উৎসব

চারুকলার বকুলতলায় নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পীরাছবি : নবান্ন উদ্‌যাপন পর্ষদের সৌজন্যে

বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঋতুভিত্তিক নবান্ন উৎসব পালিত হলো রাজধানীতে। অগ্রহায়ণের প্রথম দিনের ভোরে বাঁশির সুরের মূর্ছনায় চারুকলার বকুলতলায় শুরু হয় এ উৎসব। পরে নাচ, গান আর আবৃত্তিতে আনন্দময় হয়ে উঠেছিল আয়োজন।

‘জাতীয় নবান্নোৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদ’–এর এবারের আয়োজন ২৬তম। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল—‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’। এবারের আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ধানবিজ্ঞানী জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।

নবান্ন উদ্‌যাপন পর্ষদের সহসভাপতি মানজার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ উৎসব মানে আনন্দের সঙ্গে সমৃদ্ধিও। কৃষক ও কৃষিব্যবস্থার সঙ্গে নগরের মানুষের সংযোগ তৈরি করে দেওয়া এবং নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

উৎসবে দুই পর্বে বরেণ্য সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পীরা একক ও দলীয় পরিবেশন করেন। একই সঙ্গে ছিল বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর পরিবেশনাও।

উৎসবে শিশুদের দলীয় পরিবেশনা
ছবি : নবান্ন উদ্‌যাপন পর্ষদের সৌজন্যে

এদিকে বিকেলে টিএসসি চত্বরে আয়োজিত হয় বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের পক্ষ থেকে ‘বাংলার আদি নবান্ন আয়োজন’। ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে আজীবন’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত এ নবান্ন উৎসব শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। শোভাযাত্রাটি টিএসসি থেকে শহীদ মিনার হয়ে আবার টিএসসিতে এসে শেষ হয়। প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, পুরো পৃথিবীতে শুরু হয়েছে নিজেদের শিকড়ের সন্ধান। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের অভিপ্রায় আধিপত্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আদি নবান্ন উৎসবও এরই অংশ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল গ্রামবাংলার লোকগান, পুঁথি পাঠ, পালাগান পরিবেশনা। আদি নবান্ন উৎসব উপলক্ষে টিএসসিতে বসেছে ছোট্ট মেলা।

ছবি : নবান্ন উদ্‌যাপন পর্ষদের সৌজন্যে