দোকান খুলেছেন নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
অগ্নিকাণ্ডের পর আজ সোমবার সকাল থেকে দোকান খুলতে শুরু করেছেন রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা, তবে বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে ধোঁয়ামোছা ও কাপড় প্রদর্শনের ব্যবস্থা করছেন।
আজ নিউ সুপার মার্কেটে সরেজমিন এসব দৃশ্য দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেনারেটর চালিয়ে একটি ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মালিক সমিতি। তাঁরা ছোট পরিসরে দোকান খুলে ব্যবসা চালু করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি আগুনে পোড়া দোকানগুলো থেকে পোড়া কাপড় ও আসবাব সরিয়ে আনা হচ্ছে।
এদিকে আগুন নেভানোর পর থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করছে নিউ সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতি। মালিক সমিতির আহ্বায়ক মারুফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। তাঁরা তালিকা তৈরির জন্য কাজ করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা এখন বেড়ে ২৭০টি হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব দোকান আগুনে পুড়েনি, তারা ব্যবসা শুরু করতে পারবে। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কোনো কোনো ব্যবসায়ী দোকান খুলেছেন।
নিউ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে পাঁচজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা বলছেন, ‘দোকান খুলেছি মনের সান্ত্বনার জন্য। ঈদের এই মৌসুমে আর আমাদের মার্কেটে বেচাকেনা হবে না।’
গুড লাইফ নামের কাপড়ের দোকানের মালিক মোহাম্মদ কলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার বছর ধরে দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি। দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। পরের বছর ঢাকা কলেজের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবসা হয়নি। আর এ বছর আগুনে সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।’
বিসমিল্লাহ গার্মেন্টসের ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের আগে এই সময়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা কেনাবেচা হতো। আগুন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে।’