বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সিআরআইয়ের ‘দ্য ফিয়ারলেস কল: থ্রি’
দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক প্রদর্শনী ‘দ্য ফিয়ারলেস কল’। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা আজ রোববার এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। সিআরআইয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘দ্য ফিয়ারলেস কল থ্রি’ নামের ডিজিটাল শিল্পকর্মটিতে ছিলেন একঝাঁক তরুণ শিল্পী। তাঁরা হলেন এ কে এম সালেহ আহমেদ, আরাফাত করিম, সুবর্না মোর্শেদা, সাবিহা হক, অনন্যা মেহপার আজাদ, অন্তরা মেহরুখ আজাদ, সায়েদ ফিদা হোসাইন, রিশান শাহাব তীর্থ, আপন জোয়ার্দার, মিতালি রায়, সুহাস নাহিয়ান ও শুভ্র দাস। এই শিল্পকর্মের কিউরেটর ছিলেন এমদাদুল হক। গবেষণা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন জন্মজয় দে ও নভেরা কাজী।
‘দ্য ফিয়ারলেস কল’–এর এবারের আসরে আ জার্নি টুওয়ার্ডস ওয়ার্ল্ড পিস, ইনোসেন্ট মিলিয়নস, দ্য এন্ড অব ওয়ার, ডেড অ্যাস ফেমিন স্প্রেড, হোয়াট ইফ, লেটার টু ইউএন, আ ফিল্ম বাইসহ আরও বেশ কিছু চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এসব শিল্পকর্মের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-বিশৃঙ্খলা, গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষ, বর্ণবাদ ও উদাসীনতা, অসমতা ও পক্ষপাতের ভরা এই বিশ্বে একটি ‘শান্তির উদ্যান’ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন শিল্পীরা।
যেখানে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে পটভূমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলায় দেওয়া সেই ভাষণে বিশ্বে শান্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা এখনো প্রাসঙ্গিক। ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ, সম্পদের সঠিক বণ্টন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাঁর রাজনৈতিক ভ্রমণকে এই উদ্যানের পটভূমি হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়।
প্রদর্শনীতে আসা এক বিদেশি চিত্রশিল্পী বলেন, ‘আমি এখানে আছি চার সপ্তাহ ধরে। আমি জলরং নিয়ে এখানে কাজ করেছি। আমি কোপেনহেগেন থেকে এসেছি। এটা খুব মজার। কারণ, একদল তরুণ তাঁদের জাতির পিতার ১৯৭৪ সালের ভাষণের ওপর ছবিগুলো এঁকেছেন। আমি আপনাদের মাতৃভাষার বর্ণগুলাও পছন্দ করি। এটা আমার কাছে মনে হয় একটি চিত্রকর্ম।
আরেক বিদেশি বলেন, এটা খুব ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। ইতিহাসকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন টাইপোগ্রাফি ও ছবির বুননে জাতির পিতার জীবন ও স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। ২৩ বছরের ঔপনিবেশিক পরাধীনতা থেকে রক্তপাতের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর জীবনে রাজনৈতিক বাঁকের নানা দিকে তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা উঠে আসে শিল্পকর্মটিতে।