ব্লগার নাজিমউদ্দিন হত্যায় চারজনের বিচার শুরু
ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই মামলায় পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় আগামী ৬ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আজ সোমবার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম ছারোয়ার খান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপর যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন রশিদ উন নবী, শেখ আবদুল্লাহ ও আকরাম হোসেন। অব্যাহতি পেয়েছেন আসামি মোজাম্মেল হোসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, ওয়ালি উল্লাহ ওরফে ওলি, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক ও জুনেদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ।
অভিযোগ গঠনের সময় আসামিরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।
পিপি গোলাম ছারোয়ার বলেন, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমউদ্দিন ক্লাস শেষে গেন্ডারিয়ার মেসে ফিরছিলেন। পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে হামলার শিকার হন তিনি। দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এ মামলায় চার আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার আসামিরা জানিয়েছেন, অনলাইনে লেখালেখির কারণে নাজিমউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে রশিদ উন নবী গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) তৎকালীন প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, নাজিমউদ্দিনকে হত্যার আগে তিন মাস ধরে পরিকল্পনা করে আনসার আল ইসলাম। নাজিমউদ্দিন মেসে থাকতেন। তাই তাঁকে সেখানে গিয়ে খুন করা সম্ভব নয় বলে যাওয়া-আসার পথে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি।