পিবিআইপ্রধানের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

আদালতপ্রতীকী ছবি

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আগামী ১১ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, অপর তিন আসামি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন—সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার, বাবুলের বাবা মো. আবদুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান।

২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন বনজ কুমার। মামলায় বাবুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ধানমন্ডি থানার পুলিশ।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে ইলিয়াস ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। বাবুল, তাঁর বাবা ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমানের যোগসাজশে ইলিয়াস এ কাজ করেছেন। এতে পিবিআইপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় পরদিন (৬ জুন) বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে এক নারীর সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে হত্যা করা হয়। বাবুল সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন।

মাহমুদা হত্যা মামলায় গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।

অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন—মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া।