ঢাকা-১৩: সড়ক-ফুটপাত থেকে তুলে দেওয়া হলো একটি নির্বাচনী ক্যাম্প
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির সামনের সড়ক-ফুটপাতের জায়গা দখল করে বানানো বড় আকারের নির্বাচনী ক্যাম্পটি তুলে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সেখানে ঢাকা-১৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই নির্বাচনী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল।
এ নিয়ে গতকাল শনিবার প্রথম আলো পত্রিকায় ‘ফুটপাতে-সড়কে নির্বাচনী কার্যালয়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই (গতকাল) এই নির্বাচনী ক্যাম্পটি তুলে দেওয়া হয়। তবে কাছাকাছি দূরত্বে সড়কে থাকা ছোট আকারের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্প এখনো রয়ে গেছে।
আজ রোববার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির সামনের সড়ক-ফুটপাতের জায়গা দখল করে বানানো বড় আকারের নির্বাচনী ক্যাম্পটি এখন নেই। সেখানে সড়কের পাশে কিছু বাঁশ ফেলে রাখা হয়েছে। ফুটপাতে দুটি টেবিল পড়ে আছে। টেবিলের সঙ্গে থাকা চেয়ারগুলো নেই।
স্থানীয় এক দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে পুলিশ নির্বাচনী ক্যাম্পটি তুলে দিয়েছে।
আরেক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি শুনেছেন, নির্বাচনী ক্যাম্পটি নিয়ে পত্রিকায় খবর হয়েছে। তাই ক্যাম্পটি তুলে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-১৩ আসনের আওতাধীন সাতটি ওয়ার্ডের মধ্যে গত শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার ঘণ্টায় মোটরসাইকেলে করে চারটি ওয়ার্ডের (৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক। এর মধ্যে চারটি ওয়ার্ডে আটটি নির্বাচনী ক্যাম্প দেখা যায়, যা হয় ফুটপাতের জায়গা দখল করে, না হয় সড়কের ওপর করা।
আজ সকালে সরেজমিন দেখা যায়, এই আসনের অন্য নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোর মধ্যে গজনবী রোডে জেনেভা ক্যাম্প এলাকার সড়ক-ফুটপাতের জায়গা দখল করে বানানো নির্বাচনী ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাঁশ ও কাপড় দিয়ে তৈরি করা এই ক্যাম্প সরাতে চারজন ব্যক্তি কাজ করছিলেন।
আর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের ফুটপাতে কাঠের তৈরি নৌকা বসিয়ে যে নির্বাচনী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল, সেখান থেকে নৌকাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই ক্যাম্পটির ঠিক উল্টো পাশের একটি দোকানে নতুন করে নির্বাচনী ক্যাম্প বানানো হয়েছে।
প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে এই আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে কল করে বলেছিলেন, সড়ক ও ফুটপাতে নির্মাণ করা অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প পুলিশ উঠিয়ে দেবে।
এদিকে আজ বিকেলে ঢাকা–১৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. আল–আমিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদন দেখে আজ পুলিশ নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে তৈরি করা ৭/৮টি নির্বাচনী ক্যাম্প তাঁরা সরিয়ে দিয়েছেন। বাকিগুলোও দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।