আরিফসহ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল, আরেক শিক্ষার্থী সাব্বির রহমান লিওনসহ গ্রেপ্তার সব শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা এ দাবি জানান। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতে দেশে দুই শতাধিক নিহত হওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৩২২ জন শিক্ষার্থী।
বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কয়েক সপ্তাহজুড়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই আন্দোলন দমনে ঘটানো ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড’ গোটা জাতিকে হতবিহ্বল করে দিয়েছে। ন্যায্য দাবিতে সারা দেশের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ এই আন্দোলনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ২৮ জুলাই ভোরে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে আরিফ সোহেলকে তাঁর বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। আন্দোলনের পুরো সময় আরিফ সোহেল নিজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন সংগঠিত করার কাজে যুক্ত থাকলেও আমরা দেখলাম, বনানীর সেতু ভবনে হামলার দায়ে তুলে নেওয়ার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদনসহ মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর নামে।’ এ ঘটনায় উদ্বেগ জানান প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে কারফিউ প্রত্যাহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু ও ইন্টারনেটের পূর্ণ গতি নিশ্চিত, হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, গণগ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলার নামে হয়রানি বন্ধ, জাহাঙ্গীরনগরসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।