রাজধানীতে মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে গণপরিবহনব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা হলো। দেশে নতুন এই ইতিহাসের সঙ্গে আরেকটি ইতিহাসও যুক্ত হলো। আর সেটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর যাত্রাসঙ্গীদের নিয়ে প্রথম যাত্রীবাহী এই মেট্রোরেল চালালেন একজন নারী। তিনি মরিয়ম আফিজা। ইতিহাসের অংশ হতে পেরে দারুণ খুশি এই নারী বললেন, এটি তাঁর জন্য গর্বের বিষয়।
মরিয়ম আফিজা যে যাত্রীবাহী প্রথম মেট্রোরেলটি চালাবেন, সেটি আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। এ জন্য এই নারীকে ‘ট্রেন অপারেটর’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে মেট্রোরেল চালানোর জন্য কয়েক মাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। মরিয়ম আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। লক্ষ্মীপুরের মেয়ে মরিয়ম নিয়োগ পেয়েছেন গত বছরের ২ নভেম্বর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়েন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর যাত্রাসঙ্গীদের নিয়ে মেট্রোরেল দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনে আসে।
আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেল থামার পর আফিজার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মরিয়ম আফিজা বলেন, দেশবাসী স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। এ জন্য সবাই যেমন আনন্দিত ও গর্ববোধ করছেন, সেই রকমভাবে তিনিও নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। তবে তাঁর গর্বের জায়গাটা একটু ভিন্ন। কারণ, মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার চালক ছিলেন তিনি। আবার সেই যাত্রায় প্রথম যাত্রী সরকারপ্রধান।
মরিয়ম আফিজা বললেন, ‘এ রকমভাবে প্রথম যাত্রা করতে পেরেছি এবং এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন যাত্রী। এটা গর্বের ব্যাপার।’
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় চালক হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি আফিজা।
মেট্রোরেলের প্রথম এই যাত্রার যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য ও নির্ধারিত কিছুসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীও মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার যাত্রী হয়েছিল। আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছানোর পর মেট্রোরেল থেকে হাসিমুখে নেমে আসেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্য যাত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নেমে আসার সময় উপস্থিত সবাই ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন।