মাথায় ইট পড়ে নারী ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দাবি

দীপু সানার ‘হত্যাকাণ্ডে’র সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে মানববন্ধন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ব্রিজ। রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীতে মাথায় ইট পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তা দীপু সানার মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠী ও সহকর্মীরা। তাঁদের দাবি, একটা বাসযোগ্য নগরী; যাতে সবাই নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ব্রিজের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। দীপু সানা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

সাতক্ষীরার মেয়ে দীপু বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট কার্যালয়ে (সহকারী পরিচালক হিসেবে) কর্মরত ছিলেন। ১০ জানুয়ারি মৌচাক উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে হেঁটে আসার সময় ফখরুদ্দিন রেস্টুরেন্টের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে তাঁর মাথার ওপর ইট পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, ‘দীপু দুটি পরিবারকে সামলে নিচ্ছিল সুন্দরভাবে, কিন্তু এই নৃশংস ঘটনা দুটি পরিবারকে স্তব্ধ করে দিয়েছে, আমাদেরও স্তব্ধ করেছে। দীপুর ঘটনাটি সাধারণ মৃত্যু নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কনস্ট্রাকশন সাইটে নিরাপত্তাব্যবস্থা তো থাকা দরকার ছিল। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। এখানে কী ধরনের ঘাটতি ছিল, সেটি খতিয়ে বের করতে হবে।’

দীপুর রেখে যাওয়া তিন বছরের শিশুসন্তানসহ তাঁর পরিবারকে দেখভালের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

দীপুর সহপাঠী ও সহকর্মী রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘দীপু সানার ঘটনাটি শুধুই মৃত্যু, নাকি হত্যাকাণ্ড—সেটা আমরা জানি না। আমরা চাই না রাস্তাঘাটে গাছের ডাল ভেঙে, ইট পড়ে মানুষের অকালমৃত্যু হোক। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের জন্য আমরা প্রয়োজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাব।’

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. অহিদুজ্জামান, দীপুর সহকর্মী মীনাক্ষী, সহপাঠী বিজয় আহমেদ ও আল রফিক জয় বক্তব্য দেন।