ডেমরায় মাটিতে পুঁতে রাখা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানী ডেমরার রাজাখালী এলাকা থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ডেমরার রাজাখালী এলাকায় এক নারীর মরদেহ পুঁতে রাখা হয়েছে, এমন সংবাদ পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী এই নারীর নাম মরিয়ম খাতুন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মরিয়ম খাতুন রাজখালী এলাকার এক ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা ধার দেন। সেই ধারের টাকা ফেরত আনতে গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির বাসায় যান মরিয়ম। তখন ওই ব্যক্তির সঙ্গে মরিয়মের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মরিয়মকে মারধর করা হয়। তখন তিনি জ্ঞান হারান। একপর্যায়ে মরিয়ম মারা গেলে নিজেদের বাড়ির পাশে তাঁকে পুঁতে রাখেন ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, রাজাখালীতে মো. বাবু নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে নতুন মাটি দেখে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা মাটি কিছুটা খুঁড়লে একজনের হাত বেরিয়ে আসে। এতে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাঁরা বাবু ও তাঁর স্ত্রী মীমকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মরিয়মের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মীর আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী সুস্থ হওয়ার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এটা মরিয়মের মৃত্যুর রহস্য জানতে সাহায্য করবে।’
তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন থেকে কী কারণে মরিয়মের মৃত্যু হয়েছে, তা জানা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মীর আবদুর রাজ্জাক।