ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ককে শহীদ ফেলানী সড়ক ঘোষণা

গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কে ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ নামফলক বসানো হয়েছে। ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বরছবি: প্রথম আলো

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ককে ‘শহীদ ফেলানি সড়ক’ ঘোষণা করে নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ওই সড়কে নামফলক স্থাপন করে পিপলস অ্যাকটিভিস্ট কোয়ালিশন (প্যাক) নামের একটি সংগঠন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন কিছু মানুষ। ওই সড়কে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা অবস্থান নিয়ে জনগণ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্যাক–এর নেতা–কর্মীরা নামফলক স্থাপন করতে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। তখন তাঁরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ফ্যাসিস্টদের কালো হাত ভেঙে দাও ভেঙে দাও’ স্লোগান দেন। একপর্যায়ে সড়কে শহীদ ফেলানী সড়ক লেখা একটি নামফলক স্থাপন করা হয়।

নামফলক স্থাপন শেষে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে এই সড়কের নাম ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

আহমেদ ইসহাক বলেন, ‘আমরা অনেক লোক জমায়েত করতে পারতাম। ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে বড় জমায়েত করিনি। আমরা দূতাবাসের সামনেও যাইনি। নামফলক স্থাপন করে সবাই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে।’

পিপলস অ্যাকটিভিস্ট কোয়ালিশন (প্যাক) নামের একটি সংগঠন গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কে ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ নামফলক স্থাপন করে। ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর
ছবি: নুরুল আমিন
আরও পড়ুন

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী। ফেলানীর লাশ কাঁটাতারে চার ঘণ্টার বেশি সময় ঝুলে ছিল। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা কিশোরী ফেলানীর লাশ আলোড়ন তুলেছিল দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে।

চলতি মাসেই মৌলভীবাজার ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই কিশোর–কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

আরও পড়ুন