ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ নন-ফিকশন বইমেলা ২০২২-এর সমাপনী দিন ছিল আজ বুধবার। এদিন বিকেলে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা নন-ফিকশন বই পুরস্কার দিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। এতে প্রথম হয়েছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) আর দ্বিতীয় হয়েছে প্রথমা প্রকাশন। মোট ৪০টি প্রকাশনা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিয়েছিল।
আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ী দুই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং অর্থনীতি বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান এম এম আকাশ। তাঁদের হাত থেকে পুরস্কার নেন ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন ও প্রথমা প্রকাশনের সমন্বয়ক জাভেদ হুসেন।
এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি খন্দকার বজলুল হক ও সদস্য আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং এম এম আকাশ—এই তিনজনের সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ড সেরা প্রকাশক নির্বাচন করেছে। পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় ফজলুল হক ও এম এম আকাশ উপস্থিত থাকলেও বজলুল হক ছিলেন না।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘নন-ফিকশনকে বাংলায় কথাসাহিত্যবহির্ভূত গদ্যগ্রন্থ বলা যেতে পারে। সে জায়গা থেকে এ মেলাকে কথাসাহিত্যবহির্ভূত গদ্যগ্রন্থের মেলা বলা চলে। কথাসাহিত্য বা ফিকশন ও জনপ্রিয় লেখা সব দেশেই কমবেশি আছে। ফিকশন বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয়। চার-পাঁচজন লেখকের বই আমাদের দেশে খুব বেশি বিক্রি হয়। তবে পাঠকদের বিশ্লেষণমূলক ও চিন্তাশীল বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা দরকার। সে দিক থেকে এ মেলা একটা অত্যন্ত শুভ উদ্যোগ। এর আয়োজকদের আমরা অভিনন্দিত করি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, নন-ফিকশন বইমেলার মতো উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের তথ্য-উপাত্তভিত্তিক লেখাগুলো আত্মস্থ করতে আগ্রহী করবে। আগামীতে মেলাটি যেন আরও বড় পরিসরে করা যায়, সে ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। মেলায় ‘স্টেকহোল্ডারের’ সংখ্যা আরও বাড়াতে পারলে এতে প্রাণচাঞ্চল্য আরও বাড়বে, পাশাপাশি বাড়বে বইয়ের বিক্রিও।
২০১৫ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে এই অনুষদ ও জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তার উদ্যোগে নন-ফিকশন বইমেলা হয়ে আসছে। আগামীবার থেকে আরও বড় পরিসরে মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে বলে জানান অনুষদের ডিন মুহাম্মাদ আবদুল মঈন ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এম এম আকাশ, মেলার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর আলম এবং বিজয়ী দুই প্রকাশনীর প্রতিনিধি মাহরুখ মহিউদ্দিন ও জাভেদ হুসেন।