বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার সুনির্দিষ্ট প্রকৃত কারণ এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা বলছেন, ‘অ্যাকচুয়ালি (প্রকৃত) কী ঘটনা এখনো বের করতে পারিনি।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এই হত্যা মামলার তদন্ত করছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কিন্তু ডিবির পক্ষ থেকে কখনো বলিনি যে বুয়েটের ছাত্র ফারদিন ডেমরার চনপাড়ায় গিয়ে মাদকের কারণে মারা গেছেন। আবার মামলার আসামি ফারদিনের বন্ধুকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তিনিই খুন করেছেন, সেটিও কিন্তু আমরা বলছি না। আমরা পারিপার্শ্বিকতা, বিভিন্ন বিষয় বিচার–বিশ্লেষণ করছি। আমাদের দল সব বিষয়, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে বিচার–বিশ্লেষণ করছে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও গণসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবির প্রধান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই ঢাকা শহরে তাঁরা যেখানে যেখানে গিয়েছেন, আমরা কিন্তু বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যমে সেগুলো খুঁজে বের করেছি।’
৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত বুধবার দিবাগত রাতে বাবা কাজী নূর উদ্দিন রাজধানীর রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছেলের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা মামলার তদন্তভার পেয়েছি। বুয়েট ছাত্রের বাবা একটি মামলা করেছেন, সেই মামলায় ওই তাঁরই এক বন্ধুকে আসামি করেছেন। তাঁকেও কিন্তু আমরা গ্রেপ্তার করেছি। পাশাপাশি আমরা কিন্তু এ কথা বলছি না, তাঁর বাবা যাঁর নামে মামলাটি করেছেন, তিনিই এই খুনের জন্য দায়ী। মামলার এফআইআরে তাঁর নাম এসেছে। তিনি রিমান্ডে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’
ডিবির প্রধান আরও বলেন, বুয়েটের ছাত্র ফারদিন হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভাব্য সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করছেন ডিবির তদন্ত দলের সদস্যরা।