সাংবাদিক রোজিনার মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন
দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে সম্প্রতি বিষয়টি জানা গেছে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে তাঁকে মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্ত রিপোর্ট (তথ্যগত ভুল) দিয়েছেন বলে শুনেছি। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত বা দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। যেহেতু তদন্ত কর্মকর্তা ইতিপূর্বে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, সেহেতু আমাদের নিবেদন হচ্ছে, বিজ্ঞ আদালত চূড়ান্ত রিপোর্টসহ অন্যান্য প্রসিকিউশন ডকুমেন্টস (তথ্য) পর্যালোচনাপূর্বক ন্যায়বিচারের স্বার্থে রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেবেন।’
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন। সংস্থাটি আশা প্রকাশ করছে, আদালতের কাছ থেকে রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন।
২০২১ সালের ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়। একই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক সপ্তাহের মাথায় গত বছরের ২৩ মে তিনি জামিনে ছাড়া পান। এরপর থেকে তিনি আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছেন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ‘সেরা অদম্য সাহসী’ হিসেবে গত বছর ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।