ঢাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন লাখ বেশি সিম সক্রিয়
ঢাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেশের শীর্ষ ৩ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের ৯৩ লাখের মতো সিম সক্রিয় ছিল, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় ৩ লাখ বেশি। ঢাকা থেকে মানুষ বাইরে যাওয়া কমে গেলে বা কোনো কারণে রাজধানীতে বেশি মানুষ এলে সক্রিয় সিমসংখ্যা বেড়ে যায়।
সিমসংখ্যার এই হিসাব সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি বলছে, তিন লাখ সিম বেশি মানে ঢাকায় এখন তিন লাখ মানুষ বেশি আছেন, তা নয়। একেকজনের একাধিক সিম থাকতে পারে।
২০২১ সালে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশে মুঠোফোনের ইউনিক ইউজারের হার ৫৪ শতাংশ। ইউনিক ইউজার গণনার ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির একাধিক সিম থাকলেও তাঁকে এক গ্রাহক হিসেবে ধরা হয়।
এই হিসাবে ঢাকায় ৩ লাখ বাড়তি সিমের বিপরীতে ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ থাকতে পারেন। এই বাড়তি সিম থাকার কারণ কী, তা জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তিনটি বিষয়ের কথা বলছেন—১. শনিবার বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা–কর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। ২. ঢাকার বাসিন্দা যেসব সাধারণ মানুষ রাজধানীর বাইরে ছিলেন, কিছুটা অনিশ্চিত পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে রাজধানীতে ফিরে এসেছেন। ৩. ছুটির দিন হলেও রাজধানী থেকে ঢাকার বাইরে লোক কম গেছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, দেশে অক্টোবর মাস শেষে সক্রিয় সিম দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজারের মতো। ৫৪ শতাংশ ইউনিক ইউজার ধরে প্রকৃত গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ৮০ লাখের কিছু বেশি। বিটিআরসি ৯০ দিনের মধ্যে একবার ব্যবহার করলেই সেটিকে সক্রিয় সিম ধরে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ প্রতিবেদনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি। ৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করেন।
মুঠোফোনের সিমের অবস্থান পরিবর্তনের তথ্য পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, কর্মদিবসে সাধারণত দুই লাখের মতো সিম ঢাকায় ঢোকে অথবা বের হয়। ছুটিকে কেন্দ্র করে এ সংখ্যা তিন থেকে চার লাখও হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ঢাকায় সক্রিয় সিমের সংখ্যা তিন লাখ বেশি ছিল।