অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠা কিশোরকে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট
কক্সবাজারের টেকনাফে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিত করতে তাকে আদালতে হাজির করতে ও মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। রিটটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতের কার্যতালিকায় থাকবে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ সিদ্ধান্ত জানান।
‘টেকনাফে কিশোরকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন’ শিরোনামে গত ৩০ নভেম্বর প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটিসহ ওই কিশোরকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন আজ সকালে আদালতে তুলে ধরে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
আসকের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রতিবেদন তুলে ধরেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান। প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বলে দুপুরে শুনানির জন্য রাখেন। এর মধ্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্র ওই রিট করে, যা মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালতকে জানান আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। পরে তা সম্পূরক কার্যতালিকায় ওঠে।
বিকেলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান বলেন, ‘এক দিনের মধ্যে হালনাগাদ তথ্য জানানো যাবে আশা করছি।’ তখন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বলেন, শিশুটিকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করার কথা এজাহারের রয়েছে। অস্ত্র আদায় করার চেষ্টা ও যাঁরা সম্পৃক্ত তাঁদের আটকের চেষ্টা করেছে, তাই এজাহার দায়ের করতে এক দিন দেরি হয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে।
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, কাউকে গ্রেপ্তার করার যে প্রক্রিয়া ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া, এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। না হলে মানুষের মনে প্রশ্ন জন্ম দেয়।
আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বলেন, বৃহস্পতিবার কিশোরটির একটি পরীক্ষা আছে। তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান বলেন, তিনটা পরীক্ষা হয়ে গেছে, জেলা প্রশাসন পরীক্ষাগুলো দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আদালত বলেন, রিটটি আগামীকাল কার্যতালিকায় থাকবে।