২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

৪০০০ টাকার পর আরও ১০০০ টাকার মামলা, বাইকে আগুন দিলেন তিনি

মামলা দেওয়ায় নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন এক ব্যক্তি
সংগৃহীত

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে মাস কয়েক আগে চার হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দিয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও সেই জরিমানার টাকা দিতে পারেননি মোটরসাইকেলচালক। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ নীলক্ষেত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে সার্জেন্ট দেখেন, আগের হওয়া একটি মামলার জরিমানার চার হাজার টাকা চালক এখনো জমা দেননি। জমা না দেওয়ায় ওই সার্জেন্ট চালককে এবার এক হাজার টাকা জরিমানা করে আরও একটি মামলা দেন।

আর এতে ক্ষোভে–হতাশায় নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে লালবাগ থানায় নিয়ে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মামলায় ত্যক্তবিরক্ত হয়ে গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বাড্ডায় এক ব্যক্তি নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সামনে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে ৷ মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. ইলিয়াস। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের লালবাগ জোনের উপকমিশনার মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক ব্যক্তি ব্যানবেইসের সামনে তাঁর মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন। এটা শোনার পর আমি সার্জেন্ট পাঠালাম। সার্জেন্ট আমাকে জানালেন, ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে পলাশী মোড়ে একটি মামলা দেওয়া হয়েছিল। মামলাটা হলো ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগের একটি মামলা ছিল চার হাজার টাকার, যা ডেট (তারিখ) ফেল (মেয়াদোত্তীর্ণ) হয়েছে অনেক আগেই, কিন্তু তিনি তা খারিজ (জরিমানার টাকা জমা) করাননি।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ যখন বাইকচালককে সার্জেন্ট দাঁড় করান, তখন তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। পলাশী মোড়ে সার্জেন্ট গাড়ি থামানোর পর তিনি হেলমেট মাথায় দেন। পরে আগের মামলার অর্থ পরিশোধ না করার জন্য তাঁকে এক হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর ব্যানবেইসের সামনে গিয়ে ওই ব্যক্তি তাঁর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন এবং তা পুড়ে যায়। গাড়িটিসহ ওই লোককে আমরা থানায় পাঠিয়েছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’