রাজারবাগের পীরের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি সংগঠন আছে কি না, তার তদন্ত হবে
রাজারবাগের পীর এবং তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় উলামা আঞ্জুমান বাইয়্যিনাত বা ভিন্ন কোনো নামে জঙ্গি সংগঠন আছে কি না, সে বিষয়ে আগামী ৩০ নভেম্বরের আগে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ বহাল রয়েছে। এটিসহ হাইকোর্টের দেওয়া তিন দফা নির্দেশ বহাল রয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমানের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ‘নো অর্ডার’ দেন।
হাইকোর্টের আদেশে রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পদ রয়েছে, তা নির্ণয় করে ওইসব সম্পদের উৎস সম্পর্কে ৩০ নভেম্বরের আগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
দেশের ছয়টি জেলায় পৃথক ৩৪টি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে রাজারবাগের পীর ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে সাত বছর বয়সী শিশু, দুজন নারী, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ আট ব্যক্তি রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তিন দফা নির্দেশসহ আদেশ দেন। সেখানে রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দায়েরে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদেশ পাওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাজারবাগের পীর গতকাল রোববার আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জহুরুল ইসলাম। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
পরে শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের ১৯ সেপ্টেম্বর দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাজারবাগের পীর আবেদনটি করেন। চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে তিন দফা নির্দেশসহ হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বহাল থাকছে।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের ১৯ সেপ্টেম্বর দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলার বাদী মফিজুল ইসলাম এর আগে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর আবেদনটি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনটি ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।