বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে বাংলাদেশ
বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে বিদ্যুতের সাহায্যে দেশের ইতিহাসে মেট্রোরেলের প্রথম চলাচল দেখানো হয়। এ উপলক্ষে ডিপোতে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ছয়টি বগির সেট নিয়ে ট্রেনটি ওয়ার্কশপ থেকে প্রায় ৫০০ মিটার পাড়ি দেয়। এ ট্রেন সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ–চালিত। জাপানের কাওয়াসাকি কোম্পানি ট্রেনগুলোর নির্মাতা। তাদেরই একজন চালক ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে আসেন।
ডিপোর একটি স্থানে ট্রেনটি থামানো হলে সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ট্রেনটির ভেতরে ঘুরে দেখেন।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। আরেক সেট ট্রেন মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
সেতুমন্ত্রী জানান, প্রথম ট্রেনটি আগামী আগস্ট মাসে ডিপোর বাইরে উড়ালপথে তোলা হবে। সেখানে প্রথমে পারফরম্যান্স টেস্ট, তারপর সমন্বিত পরীক্ষামূলক চলাচল, তারপর পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষামূলক চলাচল হবে।
ট্রেনটি বিদ্যুৎ দিয়ে কীভাবে চলেছে—এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে রেললাইনে ট্রেন চলেছে, তার ওপর বিদ্যুতের তার আছে। সেটির সঙ্গে সংযোগ করা হয় ট্রেনটির।
ট্রেনটি চালিয়ে বাইরে আধা ঘণ্টা রেখে আবার ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রেনটি ওয়ার্কশপ থেকে বের হলে সবাই হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।