তেঁতুলতলা মাঠ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পরিবেশবাদীরা
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনে নামা পরিবেশবাদী ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন নাগরিক সমাজের নেতারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের একান্ত সচিব মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পরিবেশবাদী ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হচ্ছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। নাগরিক সমাজ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দুইটায় তেঁতুলতলা মাঠে স্থানীয় জনসাধারণ, পরিবেশবাদী ও নাগরিক সমাজের পূর্বনির্ধারিত প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে। নাগরিক সমাজের কয়েকজন বৈঠকে যাবেন, অন্যরা কর্মসূচিতে থাকবেন।
নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নিজেরা করির প্রধান নির্বাহী খুশী কবির, স্থপতি ইকবাল হাবীব এবং উদীচী বাংলাদেশের সঙ্গীতা ইমামের থাকার কথা রয়েছে। স্থপতি ও নগরবিশেষজ্ঞ মোবাশ্বের হোসেনেরও এ বৈঠকে থাকার কথা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাচ্চাদের এ মাঠ পুলিশের নামে বরাদ্দ দেওয়া ও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করা দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন। আমরা এ অবস্থান থেকে সরব না। আন্দোলন এবং আলোচনা একই সঙ্গে চলবে।’
রাজধানীর পান্থপথের উল্টো দিকের গলির পাশে একটি খোলা জায়গা রয়েছে। এটি তেঁতুলতলা মাঠ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় শিশুরা সেখানে খেলাধুলা করে। পাশাপাশি মাঠটিতে ঈদের নামাজ, জানাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। এই মাঠে কলাবাগান থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এর প্রতিবাদ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাঠটি রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী গত ৪ ফেব্রুয়ারি পান্থপথের কনকর্ড টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন করেন। ‘কলাবাগান এলাকাবাসী’র ব্যানারে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে স্থানীয় শিশু-কিশোর ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন। এতে মানববন্ধনের সংগঠকদের অন্যতম ছিলেন সৈয়দা রত্না।
এর প্রতিবাদ করায় গত রোববার ওই এলাকার বাসিন্দা সৈয়দা রত্না ও তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলেকে ধরে নিয়ে প্রায় ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে মধ্যরাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি শিশুদের খেলার মাঠে থানা ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন মানবাধিকারকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।