তুরস্কের সেই নাগরিকের মাঙ্কিপক্স হয়নি: আইইডিসিআর
মাঙ্কিপক্স সন্দেহে ঢাকায় আসা তুরস্কের যে নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তিনি এ রোগে আক্রান্ত হননি। পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরীন।
গত মঙ্গলবার তুরস্ক থেকে আসা ওই ব্যক্তিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই মাঙ্কিপক্স সন্দেহে রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। তবে ওই দিনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, তুরস্কের নাগরিকের উপসর্গ মাঙ্কিপক্সের নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবির বলেন, তাঁর মাঙ্কিপক্সের কোনো উপসর্গ নেই। তাঁর শরীরে যে ফুসকুড়ি, তা দীর্ঘদিনের চর্মরোগের কারণে।
তারপরও তাঁর পরীক্ষা চলে। আজ আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরীন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তির মাঙ্কিপক্স হয়নি। তাঁকে পরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ অনেকটা গুটিবসন্তের মতো, তবে তা মৃদু। শুরুতে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, ক্লান্তি ভাব, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দেয়। ফুলে যেতে পারে লসিকা গ্রন্থি। এক থেকে তিন দিনের মধ্যে সারা গায়ে ফুসকুড়ি ওঠে। মুখে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই ফুসকুড়ি।
গুটিবসন্তের মতোই প্রথমে লাল, তারপর ভেতরে জলপূর্ণ দানা, শেষে শুকিয়ে পড়ে যেতে থাকে। দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এই রোগ। তারপর নিজে নিজেই সেরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন বড় কোনো জটিলতা হয় না।