গাজীপুরের যানজটের জের ঢাকায়
গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট এসে ঠেকেছে মহাখালী পর্যন্ত। ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়ে বলছেন, টঙ্গী থেকে বনানী, ফার্মগেটসহ ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় তৈরি হয়েছে যানজট। অফিস ও বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে।
মো. রাকিব হাসান নামের এক ব্যক্তি জানান, বনানী থেকে খিলক্ষেত যেতে তাঁর এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। খিলক্ষেত থেকে উত্তরা যাওয়ার পথে যানজট বেশি। যানজটে আটকে থাকার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অনেকেই বাস থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যানজটে আটকা অনেক যাত্রীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। রাকিব হাসান সুমন নামের একজন যাত্রী লিখেছেন, তিনি সাঁতার দিয়ে অফিসে গেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ যারা উত্তরার দিকে যাবেন, সাথে পোর্টেবল টয়লেট নিয়ে যাবেন!’
নতুনবাজার এলাকায় ব্যাপক যানজটের ছবি দিয়েছেন শুভ সাহা নামের এক ব্যক্তি। মিরপুরের কালশী ইসিবি চত্বরে যানজটে আটকে থেকে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন অনেকে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিকের (উত্তর) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাজীপুরে গাড়ি আটকে আছে। সেখানকার রাস্তায় পানি জমা, অজস্র গর্ত। তাই কয়েক দিন ধরেই ঢাকার রাস্তায় তীব্র যানজট লেগে আছে।’ তিনি বলেন, ‘যানজট এতই বেশি যে মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত চলে এসেছে আজ।’
এই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর অংশে কিছু গাড়ি পানি, খানা-খন্দে ভরা রাস্তায় উল্টে যাওয়া ও বিকল হওয়ায় যানজট দীর্ঘ হয়েছে।
ঢাকার ফার্মগেট এলাকাতেও আজ সকালে তীব্র যানজট দেখা গেছে। বেলা ১১টার দিকে ফার্মগেট থেকে খামারবাড়ী পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিশ বলছে, সেখানকার যানজট খুব বেশি সময় পর্যন্ত ছিল না।
অনেকের গাজীপুর থেকে ঢাকায় আসতেই লেগে গেছে তিন ঘণ্টা। আবদুল হালিম চাকরি করেন ঢাকার বনানী এলাকায়। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কে যানজট হবে ভেবেই অন্যান্য দিনের চেয়ে এক ঘণ্টা আগে বের হয়েছি। চান্দনা চৌরাস্তা থেকে সকাল ৬টায় বাসে উঠে উত্তরা পর্যন্ত পৌঁছাতেই বেজে গেছে সকাল ৯টা। তিন ঘণ্টা বাসে বসে থেকে একেবারে নাজেহাল হয়ে গেছি।’
ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, একে তো বৃষ্টি, তার ওপর আজ সকালে গাজীপুরের স্টেশন রোড এলাকায় বালুভর্তি একটি বড় ট্রাক উল্টে যায়। তখন দীর্ঘক্ষণ যানবাহন চলাচল করতে না পারায় যানজট আরও বেড়েছে।