কঠোর বিধিনিষেধে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

সকালে রাজধানীর ফাঁকা রাস্তা।
ছবি: দীপু মালাকার

সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তাগুলো অন্য দিনের তুলনায় বেশ ফাঁকা। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, পান্থপথসহ বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। এসব রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ছিল। পুলিশের গাড়িও টহল দিয়েছে।

বাংলামোটর, মগবাজার ও সার্ক ফোয়ারার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাস্তায় বের হওয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। রিকশার আরোহীদের বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।

রমনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
ছবি: দীপু মালাকার

ধানমন্ডি, হাতিরপুল, খিলগাঁওসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে চায়ের দোকান ও কিছু দোকান খুলতে দেখা গেছে। তবে শপিং মল ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে। সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকায় রাস্তায় মানুষও অনেক কম।

শিল্পকারখানা, ব্যাংক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের যানবাহনে অথবা পরিচয়পত্র নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেট এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। তবে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির তুলনায় অটোরিকশা কম চলেছে।

রাজধানীর আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজারে এসেছেন মেহেদি হাসান নামের একজন গণমাধ্যমকর্মী। প্রতিষ্ঠানের গাড়িতেই তিনি অফিসে এসেছেন। জানালেন, কৌতুহলবশত রিকশাভাড়া জানতে চান। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজারে আসতে রিকশাওয়ালা ২০০ টাকা চেয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া থাকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আগারগাঁও থেকে আসার পথে পুলিশের কোনো তল্লাশি চোখে পড়েনি বলে জানান তিনি।

সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ রয়েছে। এমনকি অভ্যন্তরীণ পথে বিমান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

এবার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। দেশব্যাপী বিধিনিষেধের পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।