রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে চিরঘুমে চলে যাওয়া মুরসালিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনেরা। ছিলেন মুরসালিনের বড় ভাই নূর মোহাম্মদও। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বললেন, ‘এই দেশে কোনো বিচার নেই। কে করবে বিচার?’ খানিক দূরে গিয়ে তিনি কিছুক্ষণ অঝোরে কাঁদলেন।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিপণিবিতানের মালিক-কর্মচারীদের সংঘর্ষে আহত অবস্থায় মো. মুরসালিনকে (২৪) ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। নিউ সুপার মার্কেটের একটি রেডিমেড কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন মুরসালিন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে মারা যান ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মুরসালিন।
মৃত্যুর পর মুরসালিনের লাশ পাঠানো হয় মর্গে। মর্গের বাইরে সকাল থেকে অপেক্ষায় ছিলেন স্বজন ও পরিচিতজনেরা। বেলা একটার দিকে মর্গে গিয়ে মুরসালিনের ভাই নূর মোহাম্মদকে ক্লান্ত-শ্রান্ত অবস্থায় দেখা গেল।
বেলা দেড়টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মুরসালিনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে কামারাঙীর চরে পশ্চিম রসুলপুরের ভাড়া বাসা নেওয়া হয়। জানাজা শেষে মুরসালিনকে আজিমপুরে দাফন করার কথা রয়েছে।
মরদেহ নিয়ে রওনা দেওয়ার আগে মুরসালিনের ভাই নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মামলা করে কী হবে? কার নামে মামলা করব। ভাইটা কীভাবে মারা গেল, কিছুই জানলাম না। এটা কেবল ও আর আল্লাহ জানেন। ওর শরীরে আঘাত আর ক্ষতের বাইরে আমরা আর কিছুই দেখিনি।’
নূর মোহাম্মদ আরও বলেন, তাঁদের বাবা বেঁচে নেই, মা আছেন। মুরসালিন বিয়ে করেছিলেন। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি আলাদা থাকতেন।