বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে সহযোগিতার অঙ্গীকার বৈশ্বিক অংশীদারদের
বাংলাদেশের কৃষি খাতকে ঝুঁকিমুক্ত, স্থিতিশীল, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বৈশ্বিক অংশীদারেরা। আজ সোমবার নেদারল্যান্ডসের ওয়াখেনিংয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এ অঙ্গীকার করেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এ গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষি খাত অগ্রাধিকার পাবে। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশের কৃষি খাতেও কাজে লাগানো হবে।
দেশের কৃষির রূপান্তরের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং বাংলাদেশে কৃষি গবেষণাসহায়তা বৃদ্ধি করতে সম্মত হন। বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে অব্যাহত সহায়তা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঞ্চালনায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক এ আলোচনায় অংশ নেন। গোলটেবিল বৈঠকের যৌথ আয়োজক ছিল কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস)।
আলোচনায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ছয়টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দ্রুত ফসলের ফলনবৃদ্ধি, স্থিতিশীল সরবরাহব্যবস্থা, খামার যান্ত্রিকীকরণ বাড়ানো ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি—বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে এই চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর আলোকপাত করা হয় তাতে।
বৈঠক শেষে ওয়াখেনিংয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের পাইলট উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়ন করা হবে।