আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার তিনটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে নাগরিক কমিটির তত্ত্বাবধান ও আইনি সহায়তায় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দুটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত দুই শিক্ষার্থীর বাবা পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ছাড়া গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ নিহতের ঘটনায় তার মা অন্য অভিযোগটি দায়ের করেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার দায়ের হওয়া তিনটি অভিযোগসহ এ পর্যন্ত ৫৪টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে ৩৮টি ও তদন্ত সংস্থায় ১৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুরোনো হাইকোর্ট ভবন সংস্কারে তিন-চার মাস সময় লাগবে—এমনটাই জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার। বৃহস্পতিবার ভবন পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য পরিচালিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতিসহ একটি প্রতিনিধিদল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আসে। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা তাদের ঘুরে দেখান। চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার সাংবাদিকদের বলেন, এখন এটিকে (ভবন) ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। ব্যবহার উপযোগী করতে গেলে যা যা করণীয়, তা–ই করা হবে। তিনি বলেন, ‘আশা করছি খুব দ্রুতই, তিন থেকে চার মাসের মধ্যে করা সম্ভব হবে।…পুরো ভবন এবং আনুষঙ্গিক টিনশেডে যে কাঠামো আছে, পুরোটাই ঠিক করে দেওয়া হবে।’
ট্রাইব্যুনাল–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত তিন বছর টিনশেড ভবনে বিচারকাজ চলছিল।
পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এটি মূল আদালত ভবন ছিল। আগে যে বিচারকাজ হয়েছে, এ ভবনেই হয়েছে। এখানে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এজলাসসহ আনুষঙ্গিক যেসব সুবিধা দরকার, সেটি এই ভবনে আগে থেকে করা ছিল। অতি প্রাচীন হওয়ার কারণে এর বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব কারণে একটা সময়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে জানানো হয় উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান প্রকৌশলীসহ তাঁদের টিমকে বুধবার ডেকে এই কোর্ট রুম, এ ভবনটাকে ব্যবহার উপযোগী করতে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের পুরো টিম বৃহস্পতিবার এসে দেখেছে।