তুরস্কে নিখোঁজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া গেছে
ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের আজাজ শহরে নিখোঁজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গোলাম সাঈদ ওরফে রিংকুর সন্ধান পাওয়া গেছে। বিধ্বস্ত ভবন থেকে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে আলম মঙ্গলবার রাত প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বাংলাদেশে থাকা রিংকুর ছোট ভাই গোলাম রাসূল প্রথম আলোকে বলেন, তুরস্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মাধ্যমে ভাই জীবিত উদ্ধার হয়েছে বলে জেনেছেন। তবে এখনো তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি।
সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই দেশে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সংখ্যাটি আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্কে ধসে পড়ে প্রায় ছয় হাজার ভবন।
ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খাহরামানমারাসের আজাজ শহরও। সেই শহরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নূরে আলম ও রিংকু থাকতেন। তাঁরা যে ভবনে বাস করতেন, সেটিও বিধ্বস্ত হয়েছে। পরে নূরে আলম বিধ্বস্ত ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রিংকুর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শিক্ষার্থী নূরে আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আট বছর আগে উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্কে পাড়ি জমান বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের রিংকু। ভর্তি হন তুরস্কের খাহরামানমারাস সুতচু ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফি বিষয়ে।
বাংলাদেশে থাকা রিংকুর ছোট ভাই গোলাম রাসূল প্রথম আলোকে বলেন, তুরস্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মাধ্যমে ভাই জীবিত উদ্ধার হয়েছে বলে জেনেছেন। তবে এখনো তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি।