সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ কেন, যা মনে করছে ফায়ার সার্ভিস

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত অক্সিজেন প্ল্যান্ট। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায়
ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেড’–এর প্ল্যান্টে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার আবার অভিযান শুরু হবে। আজ শনিবার বিকেলে প্ল্যান্টে এই বিস্ফোরণ অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ রাতে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার দেখেছি। অনেক সময় সিলিন্ডারগুলো পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্তে তা বোঝা যাবে। তবে সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি।’

আরও পড়ুন

ওই অক্সিজেন সিলিন্ডার প্ল্যান্টে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর সেখানে যে অবস্থা হয়েছে, তাতে নিরাপত্তা পর্যাপ্ত ছিল কি না, তা বোঝার উপায় নেই।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বিস্ফোরণের খবর পাই। প্রথমে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের দুটি গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের মোট তিনটি স্টেশনের নয়টি গাড়ি সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলা হয়।’

আরও পড়ুন

বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানান আবদুল মালেক। তিনি বলেন, এই কমিটির সঙ্গে মিলে দুর্ঘটনার কারণ বের করার চেষ্টা করবে ফায়ার সার্ভিস। আজ রাত আটটার পর উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে আবারও উদ্ধারকাজ চালানো হবে। রাতে দুর্ঘটনাস্থলে টহল পুলিশ থাকবে।

আরও পড়ুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত অক্সিজেন প্ল্যান্টে হতাহতদের উদ্ধারে নামেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা। আজ শনিার সন্ধ্যা ছয়টায়
ছবি: সৌরভ দাশ

দুর্ঘটনাস্থলে শুধু ধ্বংসস্তূপ

সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের অবস্থান উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায়। সরেজমিনে শুধু ধ্বংসস্তূপের দেখা মেলে। সব জায়গায় পড়ে ছিল টিন ও লোহার টুকরা। প্ল্যান্টের লোহার পাতগুলো বেঁকে দলা পাকিয়ে গেছে। ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে ছিল অক্সিজেনের সিলিন্ডারগুলো।

আরও পড়ুন

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিরা নূর বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি প্ল্যান্টে এক শিফটে ৫০ জন কাজ করেন। দুর্ঘটনার সময় রিফুয়েলিংয়ের কাজ করছিলেন চারজন। বাকিরা লোড–আনলোডসহ অন্যান্য কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ সময় ট্রাক শ্রমিকেরাও সেখানে ছিলেন।’ তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পর সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিক ও আশপাশের লোকজন ছোটাছুটি শুরু করেন।

আরও পড়ুন