যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১৪ সদস্যের কমিটি

সারা দেশে সাংগঠনিক বিস্তৃতির অংশ হিসেবে এবার যশোর জেলায় ১১৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জেলা পর্যায়ে এটি তাদের ১৩তম আহ্বায়ক কমিটি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার কমিটিতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক, জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব, আবদুল্লাহ আল মামুন লিখনকে মুখ্য সংগঠক ও ফাহিম আল–ফাত্তাহকে মুখপাত্র করা হয়েছে। তাঁরা সবাই যশোর সদরের বাসিন্দা। এ কমিটিতে ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১২ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৮ জনকে সংগঠক ও ৭৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

এর আগে ২৪ নভেম্বর রংপুর জেলা ও মহানগরে ছয় মাসের জন্য আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় ১৭৬ ও মহানগরে ১০৮ সদস্যের কমিটি করা হয়।

রংপুর জেলার ঘোষিত কমিটিতে কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদকে আহ্বায়ক, রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আশফাক আহমেদ জামিলকে সদস্যসচিব, কারমাইকেল কলেজের মো. রিফাত হাসানকে মুখ্য সংগঠক ও রংপুর সরকারি সিটি কলেজের ইয়াসির আরাফাতকে মুখপাত্র করা হয়েছে। এই কমিটিতে ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১১ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৮ জনকে সংগঠক ও ১৪২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে রংপুর মহানগর শাখার কমিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতিকে আহ্বায়ক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রহমত আলীকে সদস্যসচিব, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আলী মিলনকে মুখ্য সংগঠক ও রংপুর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির নাহিদ হাসান খন্দকারকে মুখপাত্র করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৮ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ৯ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ১১ জনকে সংগঠক ও ৮০ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

এর আগে ২ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ১১টি জেলা ও ১টি মহানগরে কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সব কটি কমিটিই ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।