প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল ওয়ার্ড কাউন্সিলরের, ভিডিও প্রকাশ

নির্বাচনে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. জহুরুল আলম
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও নগরের একাংশ) আসনের একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. জহুরুল আলম। বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।

জহুরুল আলম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার (৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরের উত্তর পাহাড়তলীর ফিরোজ শাহ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন জহুরুল আলম।

প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট পেপার নেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম। এরপর গোপন কক্ষে না গিয়ে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার সামনে থাকা টেবিলের ওপর ব্যালট পেপার রেখে প্রকাশ্যে সিল মারেন। পরে সেটি ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলেন। এ সময় ভোট গ্রহণের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে রাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কেন্দ্রের বাইরে ভোট দেননি। ভেতরে রাখা টেবিলের ওপর ব্যালট পেপারে সিল দিয়েছেন। এতে অসুবিধা কী?

ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকিয়া হোসনাইন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন পার হয়ে গেছে। আর প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচনের দিন তাঁর কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তাই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

তবে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে জহুরুল আলম গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ভঙ্গ করেছেন বলে মনে করেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশে বলা হয়েছে গোপন কক্ষে ভোট দিতে হবে। এর বাইরে যদি কেউ কিছু করেন, তাহলে তিনি অধ্যাদেশ ভঙ্গ করেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ আসনে সংসদ সদস্য হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আল মামুন। তিনি ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাতজন। এস এম মামুন বাদে বাকি ছয়জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।