পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: সংসদে অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এসব সংস্কারমূলক কাজের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক সময় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারকে ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট দেয়। কাজেই রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বাজেট সহায়তা গ্রহণ করছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
অর্থমন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বিভিন্ন উন্নয়ন–সহযোগীর কাছ থেকে মোট ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়া গেছে। আর চলতি অর্থবছরের জন্য মোট ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, দেশে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষি সহায়তা প্রদান করার নিমিত্তে কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করে যাচ্ছে। এনবিআর আশা করে, অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে।
সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা পাওনা রয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন। রবি আজিয়াটার কাছে ৭২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ টাকা পাওনা আছে। এ বিষয়েও উচ্চ আদালতে মামলা চলছে। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে সরকারের পাওনা ১ হাজার ৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
মন্ত্রী জানান, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ২০২১ সালের নিলামে বরাদ্দকৃত তরঙ্গের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ বকেয়া আছে ১৩০ কোটি ৯ লাখ ৯২ হাজার ২২৬ টাকা এবং ২০২২ সালের তরঙ্গ নিলামের ডাউন পেমেন্ট বাবদ বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনসের বকেয়া আছে ১৪৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬ টাকা।