রেস্তোরাঁয় অভিযানে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের নাম ও সংখ্যা দাখিলের নির্দেশ
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের পর ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে যেসব শ্রমিক ও কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের নাম ও সংখ্যা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। এরপর রাজধানীর অননুমোদিত রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন রেস্তোরাঁর শ্রমিক–কর্মীদের গ্রেপ্তারের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান ও ফাতেমা এস চৌধুরী চলতি সপ্তাহে রিটটি করেন। রিটে বলা হয়, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন রোস্তারাঁয় অভিযান চালানো হয়। গণমাধ্যমে এসেছে, রেস্তোরাঁ ব্যবসায় সম্পৃক্ত ৮০০ এর বেশি শ্রমিককে গ্রেপ্তার হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
পরে আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান প্রথম আলোকে বলেন, রেস্তোরাঁর গ্রেপ্তার শ্রমিকদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শকে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযানের সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে শ্রমিকদের গ্রেপ্তার কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও রাজউক চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।