পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ

পাহাড়ি বনের ভেতরে অবৈধ ইটভাটায় প্রাকৃতিক বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া সুগার মিল মহাজনপাড়া। ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ফাইল ছবি

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি—এ তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু না হতে পারে, সে বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিন জেলা প্রশাসককে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে সেখানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ায় এবং কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল না করায় এইচআরপিবির পক্ষে আবেদনটি করা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

আরও পড়ুন

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটাগুলো যাতে কার্যক্রম শুরু করতে না পারে, সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করা হয় বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে তিন জেলার অবৈধ ইটভাটার মালিকেরা যাতে তাঁদের কার্যক্রম শুরু না করতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কার্যক্রম সম্পর্কে তিন জেলা প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।